প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা
চারঘাট ও বাঘা উপজেলার তৃণমূল জনসাধারণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে অঙ্গিকারাবদ্ধ সংসদ সদস্য শাহ্রিয়ার আলম। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে যা যা করা হয়েছে
ক্রমিক নংঃ | কর্মকান্ড |
---|---|
১) | চারঘাট ও বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করা হয়েছে। |
২) | চারঘাট ও বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন তলা বিশিষ্ট ১৯ শয্যার একটি করে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ডাক্তারদের ও স্টাফদের জন্য তিনতলা বিশিষ্ট একটি করে আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। |
৩) | ইপিআই কার্যক্রম বৃদ্ধি, রেফারাল ব্যবস্থা চালু, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। যক্ষা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। উভয় হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন, ইসিজি, বায়োমেট্রিক মেশিন ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। |
৪) | চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেজর সার্জারি ও সিজার চালু করা হয়েছে। জরুরি রোগীর যাতায়াতের জন্য উভয় হাসপাতালে একটি করে নতুন এসি এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। |
৫) | আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলম এমপি ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে হাসপাতালের অকার্যকর একটি এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেন। বিভিন্ন ধরণের ভেকসিন ও তরল ঔষধাদি রাখার জন্য বাঘা হাসপাতালে একটি রেফ্রিজারেটর প্রদান করেন এবং জেনারেটরটি মেরামত করে দেন। বাঘা হাসপাতালে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বেতন দিয়ে ৫ জন আয়া রেখেছেন। পাশাপাশি এলাকার দুস্থ রোগীদের জন্য হাসপাতালে জরুরি বিভাগে একটি ফান্ড তৈরি করে দিয়েছেন। |
৬) | পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলম, এমপি নারী ও শিশুদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাঘা উপজেলার আড়ানীতে ‘হাজি ভোলাই উদ্দিন প্রামাণিক সরকারি ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ নির্মাণ করছেন। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৩৩ লাখ টাকায় জমি ক্রয় করে দান করেছেন। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে এবং নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রথম দফায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ৬ ইউনিট বিশিষ্ট ৩ তলা আবাসিক কোর্য়াটার্স নির্মিত হচ্ছে। |
৭) | বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুরে একটি সরকারি ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র’, এবং বাঘা উপজেলা সদরে সরকারি ‘মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস)’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এগুলোর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। |
৮) | বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া চারঘাটের ২১টি এবং বাঘার ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালুকরণ, সংস্কার ও মেরামতকরণ। চারঘাটে মুংলী ও ঝিকরা এবং বাঘার আমরপুর ও আড়ানীতে ২টি করে কমিউিনিটি ক্লিনিক নির্মাণ। প্রতিটি কমিউিনিটি ক্লিনিকে এখন ৩১ প্রকারের ঔষধ সরবরাহ হয়। |
৯) | আড়ানী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালুকরণ। |
১০) | চারঘাট উপজেলার নিমপাড়ায় নতুন একটি ‘উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ স্থাপন। |
১১) | চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পর্যায়ে ১৪৪টি করে ইপিআই কেন্দ্র স্থাপন। |
১২) | শুধু চারঘাট-বাঘা নয় অবহেলিত রাজশাহী অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এবং চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এমপি শাহ্রিয়ার আলম ব্যক্তিগত উদ্যোগে ‘বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’ স্থাপন করেছেন। তাঁর অন্যতম লক্ষ্য হলো চারঘাট-বাঘা তথা রাজশাহী অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। ইতোমধ্যে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে চারঘাট-বাঘাসহ রাজশাহীর অন্যান্য এলাকারও অসংখ্য গরীব মানুষ বিনামূল্যে অপারেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এছাড়া ‘মেডিকেল ক্যাম্পেইন’ গুলোতে বিনামূল্যে রোগী দেখা ও ঔষধ সরবরাহের পাশাপাশি প্রয়োজনে মেডিকেলে ভর্তি করিয়ে বিনামূল্যে অপারেশন ও চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। |
হাজী ভোলাই উদ্দিন প্রামাণিক সরকারি ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ
চারঘাট ও বাঘা উপজেলার তৃণমূল জনসাধারণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. শাহরিয়ার আলম। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি চারঘাট ও বাঘাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চত করার লক্ষ্যে চারঘাট ও বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা প্রদানের পরিধি বাড়িয়েছেন বহুগুণ। তিনি নারী ও শিশুদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাঘা উপজেলার আড়ানীতে ‘হাজি ভোলাই উদ্দিন প্রামাণিক সরকারি ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ নির্মাণ করছেন। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৩৩ লাখ টাকায় জমি ক্রয় করে দান করেছেন। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে এবং নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রথম দফায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ৬ ইউনিট বিশিষ্ট ৩ তলা আবাসিক কোর্য়াটার্স নির্মিত হচ্ছে।