Shahriar Alam

আড়ানী পৌরসভা


‘এ’ গ্রেডে উন্নীত হতে যাচ্ছে আড়ানী পৌরসভা:
২০০৬ সালে ঐতিহ্যবাহী আড়ানী পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। পৌরসভাটির আয়তন প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ৩৬ হাজার। আড়ানী নতুন পৌরসভা হলেও চারঘাট ও বাঘা পৌরসভার চেয়ে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলম, এমপির অব্যাহত প্রচেষ্টায় সরকারের গত মেয়াদেই এটিকে ‘সি’ গ্রেড থেকে ‘বি’ গ্রেডে উন্নীত করা হয়। তিনি গত ১০ বছরে আড়ানী পৌরসভাকে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। সম্প্রতি তাঁর প্রচেষ্টায় আড়ানী পৌরসভাকে ‘গুারুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং ‘কুয়েত ফান্ড’ প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি পৌরসভা ২৫ থেকে ৪০ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধিত হবে। অচিরেই পৌরসভাটি ‘এ’ গ্রেডে উন্নীত হতে যাচ্ছে।
পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ

ক্রমিক প্রকল্পের নাম
1 আড়ানী পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন স্থানে মোট ৯০ মিটার সলিং রাস্তা নির্মাণ।
2 আড়ানী পৌরসভাধীন ২নং ওয়ার্ডে ড্রেন নির্মাণ এবং সলিং রাস্তা নির্মাণ।
3 আড়ানী পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডে হামিদকুড়ায় সলিং রাস্তা নির্মাণ
4 ৪নং ওয়ার্ডে কার্পেটিং রাস্তার পটহোল মেরামতসহ সিল কোটকরণ।
5 আড়ানী পৌরসভাধীন ৫ নং ওয়ার্ডে সলিং রাস্তা নির্মাণ।
6 আড়ানী পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ডে সলিং রাস্তা নির্মাণ।
7 পৌরসভাধীন ৭ নং ওয়ার্ডে সলিং রাস্তা নির্মাণ ।
8 আড়ানী পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডের চক সিংগায় সলিং রাস্তা নির্মাণ।
9 ৯নং ওয়ার্ডের ভারতিপাড়া মেইন রোড হতে চারঘাট রোড পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
10 ৭ নং ওয়ার্ডের পিয়াদাপাড়া মসজিদ হতে আপালের বাড়ি পর্যন্ত সিসি রাস্তা সংস্কার ও নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সলিং
11 আড়ানী পৌরসভাধীন ৪ ও ৬ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন স্থানে সলিং রাস্তা নির্মাণ।
12 আড়ানী পৌরসভাধীন ৮নং ওয়ার্ডে মেডিক্যালের মোড় হতে আলীর বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
13 আড়ানী পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ভারতিপাড়ায় সলিং রাস্তা নির্মাণ।
14 ৯নং ওয়ার্ডের ভারতিপাড়ার মুকুল ড্রাইভারের বাড়ির মোড় হতে জমসেদের বাড়ির মোড় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ।
15 ৮নং ওয়ার্ডের পাঁচপাড়া কারিগর পাড়া মেইন রোড হতে আমিরুলের বাড়ি পর্যন্ত আংশিক সলিং রাস্তা নির্মাণ।
16 ০১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে সলিং রাস্তা নির্মাণ।
17 ২নং ওয়র্ডের গোচর মুকুলের বাড়ি হতে মুখারের বাড়ি, কমেফারের বাড়ি হতে আরশাদের বাড়ি, শহিদুলের বাড়ি থেকে হানিফের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ এবং পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ হতে মোল্লার পুকুর পর্যন্ত ও বেল্লালের বাড়ি থেকে বশিরের পুকুর পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ।
18 ০৩ নং ওয়ার্ডের হামিদকুড়া মাজারের বাড়ি হতে মাসুদের বাড়ি, রইমুদ্দিনের বাড়ি হতে লোকমানের বাড়ি, মসজিদ হতে হবিবুরের বাড়ি, মুক্তারের বাড়ি হতে বাবলুর বাড়ি রোড হতে কালামের বাড়ি সাগরের বাড়ি, সইমুদ্দির, আজিবরের, মহসিন, তারেক, আলম, নবাব ও জামাতের বাড়ি হতে জসিমের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ
19 ৪নং ওয়ার্ডের চকরপাড়া মসজিদ হতে গোরস্তান পর্যন্ত, সুরেসের বাড়ি হতে গোলাম মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত, স্টেশন রোড হতে সিদ্দিকের বাড়ি, নাজিমের বাড়ি, তোহিদুলের বাড়ি ও ডা. জাহাঙ্গিরের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
20 ০৫নং ওয়ার্ডের শাহাপুর মহল্লায় বকুলতলায় গুলজার মেম্বারের বাড়ি হতে সিদ্দিক খন্দকারের বাড়ি পর্যন্ত, কালামের দোকান হতে আয়নালের বাড়ি, আনারুলের বাড়ি থেকে রমজানের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ এবং আশরাফের জমির নিকট কালভার্ট মেরামতকরণ।
21 ৬নং ওয়ার্ডের আচার্যপাড়ায় আড়ানী মেডিক্যাল রোড হতে মানিক আচার্যের বাড়ি, আড়ানী পূর্বপাড়া পলাশের বাড়ি থেকে আশরাফের বাড়ি, জোতরঘু দিনেসের বাড়ি হতে বিপদের বাড়ি, আড়ানী দক্ষিণপাড়া মুসার বাড়ি হতে উত্তমের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
22 ৭নং ওয়ার্ডের চক সিংগা হয়োলীপাড়া মুক্তারের বাড়ি হতে বাদশাহ বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
23 ৭নং পিয়াদাপাড়ায় হায়দারের বাড়ি হতে মান্নানের বাড়ি, নবাবের বাড়ি থেকে ওয়াজের বাড়ি, মসলেমের বাড়ি হতে লতিফের বাড়ি এবং এফ.এম. বালিকা বিদ্যালয়ের পিছনে সলিং রাস্তা নির্মাণ।
24 ৮ নং ওয়ার্ডের চক সিংগা বাবলুর বাড়ি হতে আলমগীরের বাড়ি ও হাইদারপাড়া সাহারের বাড়ি থেকে শাহবাজরে বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
25 ৮নং ওয়ার্ডের চক সিংগা রুস্তমপুর মেইন রোড হতে নাসরিরের বাড়ি পর্যন্ত সিসি রাস্তা মেরামতকরণ।
26 ৯নং ওয়ার্ড পশ্চিম ভারতিপাড়ায় ফকির চানের বাড়ি হতে আদম আলীর বাড়ি, ইনতাজের বাড়ি থেকে রজবের বাড়ি, দক্ষিণ ভারতিপাড়ায় মসজিদ হতে আয়ুবের বাড়ি এবং রুস্তমপুর গরুহাট রাস্তা হতে পাঞ্জাতন স্যারের বাড়ি হয়ে শুকুরের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
27 ৭নং ওয়ার্ডের বাঘা মেইন রোড হতে পলানের বাড়ি, ৮নং ওয়ার্ডের পাঁচপাড়া কারিগর পাড়ায় নজরুলের বাড়ি হতে আনারুলের বাড়ি ও ৯ নং ওয়ার্ডের ভারতিপাড়ায় আজিবরের বাড়ি হতে হান্নানের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
28 ৬নং ওয়ার্ডের মাষ্টার পাড়ায় আজাদের বাড়ির নিকট কালভার্ট নির্মাণ ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কারপেটিং রাস্তার মেরামতসহ সিল কার্পেটকরণ।
29 ৬নং ওয়ার্ডের আড়ানী বাজার দক্ষিণ মাথা উজ্জল হার্ডওয়ারের দোকান হতে আড়ানী বাজার কালীমন্দির পর্যন্ত পাথর দ্বারা সিসি রাস্তা নির্মাণ।
30 ১নং ওয়ার্ডে কুশাবাড়িয়ায় মালেক কাউন্সিলরের বাড়ি হতে কুশাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট, কুশাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ঈদগাহ রোড এবং জোতরঘু আমজাদের বাড়ির রাস্তায় সলিং রাস্তা।
31 ২নং ওয়ার্ডে গোচর কাউন্সিলর জিল্লুরের বাড়ি হতে পূর্বপার্শ্ব দিয়া রেজাউলের বাড়ি পর্যন্ত, ইন্তাজের বাড়ি হতে ইন্নতের বাড়ি পর্যন্ত, আজিবরের বাড়ি হতে রশিদের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ ।
32 ৩নং ওয়ার্ডে হামিদকুড়ায় আইয়ুব আলীর বাড়ি হতে মুনসুরের বাড়ি পর্যন্ত স­াবসহ ড্রেন নির্মাণ এবং হামিদকুড়া ঈদগাহর দক্ষিণ পার্শ্ব দিয়া সলিং রাস্তা নির্মাণ ।
33 ৪ নং ওয়ার্ডে মাহেশ্বপাড়ায় রিপনের বাড়ি হতে গোপাল মেম্বারের বাড়ি হয়ে গহনের জমি পর্যন্ত, গহনের বাড়ি হতে সিদ্দিক খন্দকারের পুকুর পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ এবং আড়ানী স্টেশন রোড হতে কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক রাজের বাড়ির নিকট মসজিদ পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ ও কৃষ্ণচূড়া গাছের গোড়া বাঁধাইকরন এবং বাঘা রোড হতে মরহুম আতাহার মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
34 ৫নং ওয়ার্ডে শাহাপুর মহল্লায় জহুরুলের বাড়ি হতে মহসিনের বাড়ি পর্যন্ত, শাহপুর মেইন রোড হতে ইউনূছের বাড়ি পর্যন্ত, ইঞ্জিনিয়ার সাহেবের পুকুর হতে আল আমিনের বাড়ি পর্যন্ত এবং কদমতলা হতে নাজিমের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ
35 ৬নং ওয়ার্ডে হালদারপাড়া ওয়াহেদের বাড়ি হতে বিপদ হালদারের বাড়ি হয়ে বাঘা হালদারের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা এবং মহিলা কলেজের গেট হতে অফিস পর্যন্ত সলিং রাস্তা।
36 আড়ানী পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডে পিয়াদাপাড়ায় ট্রপির বাড়ি হতে শামিমের বাড়ি হয়ে কাঁচুর বাড়ি পর্যন্ত, তাজেমের বাড়ির নিকট সলিং রাস্তা নির্মাণ
37 ৮নং ওয়ার্ডের মোমিনপুর রোস্তমপুর মেইন রোড হতে মোমিনপুর পাড়ার মধ্যে এবং হালদারপাড়া নূর মোহাম্মদের বাড়ি হতে দক্ষিণ দিকে খলিলের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা।
38 ৯নং ওয়ার্ডের মোমিনপুর মাদরাসা হতে রুহুল প্রফেসরের বাড়ি হয়ে আন্টুর বাড়ি পর্যন্ত আংশিক সলিং রাস্তা
39 ৬নং ওয়ার্ডের বাঘা আড়ানী রাস্তা হতে আজাহার ডাক্তারের বাড়ির সামনে দিয়া দিনাজের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা এবং ফুলমন নেছা বালিকা বিদ্যালয় থেকে ইউসুফ, মুকুল ও ইমরানের বাড়ি হয়ে বাঘা রোড পর্যন্ত সলিং রাস্তা, বাঘা রোড হতে কওমি মাদরাসা পর্যন্ত সলিং রাস্তা,
40 হালদারপাড়া মোহন্তর বাড়ি হতে অর্জুনের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা এবং স্টেশন রোড হতে বাজার উত্তর মাথা নতুন মসজিদ পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
41 আড়ানী পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের শাহপুর কদমতলা হামদুর বাড়ি হতে সাবদারের বাড়ি পর্যন্ত, জেহেরের বাড়ি হতে মিলনের বাড়ি হয়ে কাউন্সিলর খাদিজার বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
42 আড়ানী স্টেশন রোড হতে রেললাইন পর্যন্ত, স্টেশন মসজিদ হতে সাইফুলের বাড়ি হয়ে জামালের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ এবং আড়ানী স্টেশনে পাইকর গাছের গোড়া বাঁধাইকরণ ও বসার বেঞ্চ তৈরীকরণ ও টাইলস লাগানো।
43 ৮নং ওয়ার্ডের মমিনপুর বকুলতলা হতে ৯নং ওয়ার্ডের রহুল প্রফেসরের বাড়ি পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ।
44 ৭নং ওয়ার্ডের দায়িরপাড়া দফাদারের মোড় হতে ৫নং ওয়ার্ডের শাহাপুর মহল্লার আবদুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা মেরামতকরণ এবং ৭নং ওয়ার্ডের আড়ানী বাউসা রোড হতে হালদারপাড়া বাবলুর বাড়ি পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা মেরামতকরণ।
45 ৩নং ওয়ার্ডের হামিদকুড়া নূরুর বাড়ি হতে ২নং ওয়ার্ডের গোচর মহল্লার চান্দুর বটতলা পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা আড়ানী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১৫টি বিভিন্ন কালভার্ট নির্মাণ।
46 ১নং ওয়ার্ডের কুশাবাড়িয়া জামে মসজিদ হতে রাজ্জাকের বাড়ি ও বারিকের বাড়ি হতে বাহারের বাড়ি পর্যন্ত সলিং এবং ২নং ওয়ার্ডের গোচর জাফর সরদারের বাড়ি, হেকমতের বাড়ি হতে আলতাবের বাড়ি ও পেশকারের বাড়ি হতে আলিমুদ্দিন সরদারের বাড়ি পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
47 আড়ানী পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাড়ি হতে পালপাড়া মোড় পর্যন্ত সলিং রাস্তা নির্মাণ।
48 আড়ানী পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের দাড়িরপাড়ায় সলিং রাস্তা নির্মাণ।
49 ৮নং ওয়ার্ডের মমিনপুর বটতলা চার পার্শ্বদিয়া জনসাধারণের বসার জন্য ও বটগাছ রক্ষা করার জন্য গাছের চারধারে বাঁধাইকরণ।
50 ৯ নং ওয়ার্ডের ভারতিপাড়ায় আক্কাছ সরদারের বাড়ি হতে কালাচানের বাড়ি ও পৌর মেইন রাস্তা হতে নবাবের বাড়ি পর্যন্ত অসমাপ্ত সলিং রাস্তা সমাপ্তকরণ।
পুঠিয়া-আড়ানী-বাঘা সড়ক প্রশস্তকরণ ও পুনর্নির্মাণ

পুঠিয়া-আড়ানী এবং আড়ানী-বাঘা সড়ক দুটি অতি ব্যস্ততম দুটি উপজেলা সড়ক। ‘পুঠিয়া-আড়ানী-বাঘা-ঈশ্বরদী’ সংযোগসহ বেশ কিছু বিকল্প সড়ক হিসেবে সড়ক দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সালে আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলম, এমপি দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখেন সড়কটির বেহাল দশা। চলাচলের প্রায় অনুপযোগী। সে সময় কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে এই সড়ক দুটিতে বিশেষকরে পুঠিয়া-আড়ানী সড়কে। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সড়ক দুটি মেরামত করা হয়। পরবর্তীতে উভয় সড়কই ৬ ফিট করে মোট ১২ ফিট প্রশস্ত করা হয়। অতিরিক্ত ভারি যান চলাচলের কারণে আড়ানী-বাঘা সড়কটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তাটি নতুন কওে নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত চলাচল উপযোগী রাখার লক্ষ্যে মেরামত কাজও শুরু হয়েছে

আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত হচ্ছে ‘বানেশ্বর-সারদা-বাঘা-ঈশ্বরদী’ সড়কটি

সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন ‘বানেশ্বর- সারদা-বাঘা- ঈশ্বরদী’ (জেড-৬০০৬) জেলা সড়কটি রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলার ন্যূনতম দূরত্বের আন্তজেলা সংযোগ সড়ক। সড়কটি অত্র অঞ্চলের মানুষজনের চলাচল ও পণ্য পরিববহনের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রায় সকল কর্মকাণ্ডের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ‘বানেশ্বর-সারদা-বাঘা-ঈশ্বরদী’ জেলা সড়ক এবং ভৌগোলিক দিক দিয়ে এই সড়কটির গুরুত্ব অপরিসীম। এ সব কিছু বিবেচনায় মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার। ইতোমধ্যে সকল প্রক্রিয়াই প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। বর্তমানে সড়কটির প্রস্ততা ১৮ ফিট। ফলে নুতন করে জমি অধিগ্রহণ করার প্রয়োজন হবে না।

শতভাগ বিদ্যুতায়ন

চারঘাট-বাঘার সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. শাহ্রিয়ার আলম, এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত যেখানে ৩৫ হাজার ১৩৯টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল, জনাব মো. শাহরিয়ার আলম, এমপি চারঘাট-বাঘার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১০ বছরে ৭৮ হাজার ৫৭৮টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। ৬৫৪ কিলোমিটার নতুন সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। শাহরিয়ার আলমের মেয়াদকালের পূর্বের ২৮ বছরে চারঘাট বাঘার মাত্র ৩৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুতের আওতায় ছিল আর তাঁর গত ১০ বছরে তিনি নতুন করে ৬৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন। তাঁর মেয়াদকালেই চারঘাট-বাঘার শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে শাহরিয়ার আলম বাঘায় ২০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সাবস্টেশন চালু করেছেন এবং চারঘাটের রামচন্দ্রপুরে ১৫ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন অপর একটি সাবস্টেশনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এটি চালু হলে চারঘাট, বাঘা ও আড়ানীর আওতাধীন এলাকাগুলোতে আর কোনো লোডশেডিং থাকবে না। নিন্মে বাঘা উপজেলায় ২০০৯ সালের পূর্বের ২৮ বছরের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবং পরবর্তী ১০ বছরের অসাধারণ অর্জনের একটি তুলনামূলক চার্ট প্রদত্ত হলো :

ক্রঃ নং বিবরণ ২৮ বছর ১০ বছর মোট অর্জনের হার
০১ গ্রাহক সংখ্যা (টি) ১৫,৩০২ ৩০,২৮৭ ৪৫,৫৮৯ ১৯৭.৯৩%
০২ লাইন নির্মাণ (কিমি ৩৪১ ২৫৬ ৫৯৭ ৭৫.০৭%
০৩ উপকেন্দ্র -------------- ০১ ০১ ------------------
০৪ উপকেন্দ্রের ক্ষমতা (এমভিএ) ----------- ১৫ ১৫ ----------
০৫ বিদ্যুৎ ব্যবহার (মেঃওঃ) ০৪ ০৮ ১২ ২০০%
০৬ বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনগণ (%) ৩৪% ৬৬% ১০০% ১৯৪.১১৮%
হাজি ভোলাই উদ্দিন প্রামাণিক সরকারি ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ

চারঘাট ও বাঘা উপজেলার তৃণমূল জনসাধারণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. শাহরিয়ার আলম। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি চারঘাট ও বাঘাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চত করার লক্ষ্যে চারঘাট ও বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা প্রদানের পরিধি বাড়িয়েছেন বহুগুণ। তিনি নারী ও শিশুদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাঘা উপজেলার আড়ানীতে ‘হাজি ভোলাই উদ্দিন প্রামাণিক সরকারি ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ নির্মাণ করছেন। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৩৩ লাখ টাকায় জমি ক্রয় করে দান করেছেন। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে এবং নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রথম দফায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ৬ ইউনিট বিশিষ্ট ৩ তলা আবাসিক কোর্য়াটার্স নির্মিত হচ্ছে।

প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা

চারঘাট ও বাঘা উপজেলার তৃণমূল জনসাধারণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে  দিতে অঙ্গিকারাবদ্ধ সংসদ সদস্য শাহ্রিয়ার আলম। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর মেয়াদকালে গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

ক্রমিক নংঃ কর্মকান্ড
১) চারঘাট ও বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করা হয়েছে।
২) চারঘাট ও বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন তলা বিশিষ্ট ১৯ শয্যার একটি করে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ডাক্তারদের ও স্টাফদের জন্য তিনতলা বিশিষ্ট একটি করে আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
৩) ইপিআই কার্যক্রম বৃদ্ধি, রেফারাল ব্যবস্থা চালু, পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। যক্ষা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। উভয় হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন, ইসিজি, বায়োমেট্রিক মেশিন ও আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিনসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে।
৪) চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেজর সার্জারি ও সিজার চালু করা হয়েছে। জরুরি রোগীর যাতায়াতের জন্য উভয় হাসপাতালে একটি করে নতুন এসি এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে।
৫) আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলম এমপি ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে হাসপাতালের অকার্যকর একটি এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে দেন। বিভিন্ন ধরণের ভেকসিন ও তরল ঔষধাদি রাখার জন্য বাঘা হাসপাতালে একটি রেফ্রিজারেটর প্রদান করেন এবং জেনারেটরটি মেরামত করে দেন। বাঘা হাসপাতালে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বেতন দিয়ে ৫ জন আয়া রেখেছেন। পাশাপাশি এলাকার দুস্থ রোগীদের জন্য হাসপাতালে জরুরি বিভাগে একটি ফান্ড তৈরি করে দিয়েছেন।
৬) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলম, এমপি নারী ও শিশুদের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাঘা উপজেলার আড়ানীতে ‘হাজি ভোলাই উদ্দিন প্রামাণিক সরকারি ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ নির্মাণ করছেন। এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে ৩৩ লাখ টাকায় জমি ক্রয় করে দান করেছেন। এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে এবং নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রথম দফায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ৬ ইউনিট বিশিষ্ট ৩ তলা আবাসিক কোর্য়াটার্স নির্মিত হচ্ছে।
৭) বাজুবাঘা ইউনিয়নের চন্ডিপুরে একটি সরকারি ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র’, এবং বাঘা উপজেলা সদরে সরকারি ‘মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস)’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এগুলোর জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৮) বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া চারঘাটের ২১টি এবং বাঘার ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালুকরণ, সংস্কার ও মেরামতকরণ। চারঘাটে মুংলী ও ঝিকরা এবং বাঘার আমরপুর ও আড়ানীতে ২টি করে কমিউিনিটি ক্লিনিক নির্মাণ। প্রতিটি কমিউিনিটি ক্লিনিকে এখন ৩১ প্রকারের ঔষধ সরবরাহ হয়।
৯) আড়ানী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালুকরণ।
১০) চারঘাট উপজেলার নিমপাড়ায় নতুন একটি ‘উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ স্থাপন।
১১) চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পর্যায়ে ১৪৪টি করে ইপিআই কেন্দ্র স্থাপন।
১২) শুধু চারঘাট-বাঘা নয় অবহেলিত রাজশাহী অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও জনগণের সেবাপ্রাপ্তি সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এবং চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে এমপি শাহ্রিয়ার আলম ব্যক্তিগত উদ্যোগে ‘বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’ স্থাপন করেছেন। তাঁর অন্যতম লক্ষ্য হলো চারঘাট-বাঘা তথা রাজশাহী অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। ইতোমধ্যে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে চারঘাট-বাঘাসহ রাজশাহীর অন্যান্য এলাকারও অসংখ্য গরীব মানুষ বিনামূল্যে অপারেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। এছাড়া ‘মেডিকেল ক্যাম্পেইন’ গুলোতে বিনামূল্যে রোগী দেখা ও ঔষধ সরবরাহের পাশাপাশি প্রয়োজনে মেডিকেলে ভর্তি করিয়ে বিনামূল্যে অপারেশন ও চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

ব্রিজ-কালভার্ট​

বর্তমান সরকারের মেয়াদে চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়কের ওপর প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬২টি ছোট ও মাঝারি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি কর্তৃক ৩টি বড় ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চককৃষ্ণপুর-জাহাঙ্গিরাবাদ বড়াল নদীর উপর নির্মিতব্য ব্রিজের শুভ উদ্বোধন করেছেন। প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বড়াল নদীর উপর ‘আড়ানী জিসি হতে জামনগর জিসি’ রাস্তায় আরও একটি ১০০ মি. দৈর্ঘ্যরে ব্রিজ নির্মান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের ফলে চারঘাট-বাঘায় গ্রাম থেকে গ্রাম, ইউনিয়ন কিংবা উপজেলা শহরে যাতায়ত ব্যবস্থা হয়েছে অতি সহজ ও ঝঞ্ঝামুক্ত; কমেছে দূরত্ব।

আড়ানী হাট উন্নয়ন

প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে আড়ানী বাজারের উন্নয়ন কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাজার উন্নয়নের সার্ভে কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও গত ১০ বছরে প্রায় ১২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি হাট-বাজার-বাস টার্মিনাল-নির্মাণ করা হয়েছে।

জাতীয়করণ হয়েছে আড়ানী মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়

সম্প্রতি মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলম, এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী আড়ানী মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়েছে।

সহ স্কুল-কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ

আড়ানী পৌরসভার ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ চারঘাট ও বাঘা উপজেলার ৭৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় একতলা, তিনতলা ও চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বেশির ভাগ একাডেমিক ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং কিছু একাডেমিক ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি চারঘাট ও বাঘা উপজেলার ২১টি কলেজ, ১০৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৯টি মাদরাসা এবং ২১টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংস্কার ও মেরামতসহ নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।

ক্রমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রক্কলিত ব্যয় ভবনের প্রকৃতি
১. আড়ানী মনোমহনী উচ্চ বিদ্যালয় একতলা ভবন ৬১.০০ লক্ষ
২. আড়ানী দাখিল মাদ্রাসা ৬০.৮০ লক্ষ একতলা ভবন
৩. আড়ানী ডিগ্রী কলেজ ৩.০০ কোটি চারতলা ভবন
৪. আড়ানী মনোমহিনী উচ্চ বিদ্যালয়। (দ্বিতীয় পর্যায়) ২ কোটি ২য় ও ৩য় তলা নির্মান
৫. রুস্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়। নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন ৩.০০ কোটি চারতলা ভবন
৬. ফুলমননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন ২ কোটি ২য় ও ৩য় তলা নির্মান সংস্কার ও মেরামত
৭. আড়ানী এরশাদ আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজ। ৫ লক্ষ সংস্কার ও মেরামত

প্রাইমারি স্কুল পাকা ভবন

আড়ানী পৌরসভার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গত ১০ বছরে চারঘাট-বাঘার ৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মিত হয়েছে পাকা ভবন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন অনুয়ায়ী একাধিক ভবনও করে দিয়েছেন তিনি।

ক্রমিক বিদ্যালযের নাম প্রাক্কলিত ব্যয়
১. বাউসা মাঝপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২৩৬৭০০০.০০
২. আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন। ২৫,০০,০০০/-
৩. আড়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পুন:নির্মাণ ২৬২৪৪১২.০৬/-
৪. কুশাবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন। ১৩,৭৫,০০০/-
৫. জয়গুন নেসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ----
৬. গোচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (চাহিদা ভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- ১ম পর্যায়) সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। অতিরিক্ত শ্রেণি কক্ষ নির্মাণ, সংস্কার-মেরামত, বাউন্ডারি ওয়াল ও গেট নির্মাণ -----
৭. আড়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বাউন্ডারি ওয়াল এবং গেট নির্মাণ) ৯৯৮১৫৪.০০/-
৮. বড় ধরণের মেরামত বেড়েরবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ওয়াসব্লক নির্মাণ: ৪০০০০০.০০/-
৯. আড়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ওয়াটার পয়েন্ট নির্মাণ: ------
১০. কুশাবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় -----

উল্লিখিত উন্নয়নের বাইরেও চারঘাট উপজেলায় আরো ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল ও গেট নির্মাণকাজ প্রক্রিয়াধীন। বাঘা উপজেলায় আরো ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল ও গেট নির্মাণ এবং ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বড় ধরনের মেরামত কাজের প্রাক্কলন প্রস্তুতের কাজ চলছে। শিগগিরই এগুলোর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে।

ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা

পৌরসভার ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষার উন্নত ও আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির সহজলভ্যতার লক্ষ্যে চারঘাট-বাঘার ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে। এমপির উদ্যোগে দুই উপজেলার ৭৪টি মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১০টি মাদরাসায় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। আলহাজ শাহ্রিয়ার আলম ব্যক্তিগতভাবে চারঘাট-বাঘার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিয়েছেন ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও ইন্টারনেট মডেম।

চারঘাট ও বাঘায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন

জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকারের মেয়াদে স্থানীয় সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলমের প্রচেষ্টায় চারঘাটে একটি পূর্ণাঙ্গ ফায়ার স্টেশন নির্মিত হয়েছে ২০১২ সালে, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধন হয়। সেই সময় আলহাজ মো. শাহ্রিয়ার আলম, এমপি চারঘাটের ন্যায় বাঘা উপজেলায়ও অনুরূপ একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এবং সদয় সম্মতি নেন। তারই ফলে বাঘা-আড়ানী সড়কে সাথে পাঁচপাড়া নামক স্থানে জমি অধিগ্রহণপূর্বক প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান-অনুদান
ক্রমিক প্রকল্পের নাম বরাদ্দ অর্থবছর
আড়ানী চক সিংগা জামে মসজিদের উন্নয়ন ৩০,০০,০০০ ২০১৮-২০১৯
আড়ানী ক্ষেপা বাবার আশ্রমে কেন্দ্রীয় শ্মশানঘাট নির্মাণ ১০,০২,০০০ ২০১৭-২০১৮
আড়ানী দাখিল মাদরাসা উন্নয়ন। ১,০০,০০০/- ২০০৯-২০১০
চক সিংড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন পূর্ব। ১,০০,০০০/- ২০০৯-২০১০
রুস্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনার নির্মাণ। ১,০০,০০০/- ২০০৯-২০১০
হাজীপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন। ৬৫,০০০/- ২০০৯-২০১০
রুস্তমপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ। ৫০,০০০/- ২০১০-২০১১
আড়ানী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ১০০,০০০/- ২০১০-২০১১
আড়ানী কালীমন্দির ৫০,০০০/- ২০১০-২০১১
১০ গোচর উত্তরপাড়া জামে মসজিদ ৫০,০০০/- ২০১০-২০১১
১১ আড়ানী মনোমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট ও শহীদ মিনার নির্মাণ। ৫০০,০০০/- ২০১২-২০১৩
১২ রুস্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে টয়লেট, বাউন্ডারি প্রাচীর এবং শহীদ মিনার নির্মাণ। ৬০০,০০০/- ২০১২-২০১৩
১৩ চক সিংগা হতে ঋষিপাড়া পর্যন্ত নদীর ধারের রাস্তার প্রটেকশন ওয়ালসহ ভাঙন ভরাট। ৫০০,০০০/- ২০১৪-২০১৫
১৪ আড়ানী চক সিংগা মধ্যপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন। ৬০০,০০০/- ২০১৭-২০১৮
ক্রমিক প্রকল্পের নাম বরাদ্দ অর্থবছর
আড়ানী চক সিংগা জামে মসজিদের উন্নয়ন ৩০,০০,০০০ ২০১৮-২০১৯
আড়ানী ক্ষেপা বাবার আশ্রমে কেন্দ্রীয় শ্মশানঘাট নির্মাণ ১০,০২,০০০ ২০১৭-২০১৮
আড়ানী দাখিল মাদরাসা উন্নয়ন। ১,০০,০০০/- ২০০৯-২০১০
চক সিংড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন পূর্ব। ১,০০,০০০/- ২০০৯-২০১০
রুস্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনার নির্মাণ। ১,০০,০০০/- ২০০৯-২০১০
হাজীপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন। ৬৫,০০০/- ২০০৯-২০১০
রুস্তমপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ। ৫০,০০০/- ২০১০-২০১১
আড়ানী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ ১০০,০০০/- ২০১০-২০১১
আড়ানী কালীমন্দির ৫০,০০০/- ২০১০-২০১১
১০ গোচর উত্তরপাড়া জামে মসজিদ ৫০,০০০/- ২০১০-২০১১
১১ আড়ানী মনোমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট ও শহীদ মিনার নির্মাণ। ৫০০,০০০/- ২০১২-২০১৩
১২ রুস্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে টয়লেট, বাউন্ডারি প্রাচীর এবং শহীদ মিনার নির্মাণ। ৬০০,০০০/- ২০১২-২০১৩
১৩ চক সিংগা হতে ঋষিপাড়া পর্যন্ত নদীর ধারের রাস্তার প্রটেকশন ওয়ালসহ ভাঙন ভরাট। ৫০০,০০০/- ২০১৪-২০১৫
১৪ আড়ানী চক সিংগা মধ্যপাড়া জামে মসজিদ উন্নয়ন। ৬০০,০০০/- ২০১৭-২০১৮
পদ্মা নদীর বামতীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন;

মো. শাহরিয়ার আলম আলম এমপির ঘোষিত অঙ্গীকার মোতাবেক পদ্মার বামতীর সংরক্ষণমূলক বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিগত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের শেষের দিকে আলাইপুর পয়েন্টে ৬০০ মিটার বাঁধের প্রটেকশনমূলক কাজ হয়েছে। সম্প্রতি চারঘাটের ইউসুফপুর পয়েন্ট ও ক্যাডেট কলেজ পয়েন্টে দুই কিলোমিটার বাঁধের স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ ছাড়া ‘রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় গঙ্গা নদীর বামতীরে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অগ্রাধিকারমূলক স্থানসমূহ নদী ভাঙন হতে রক্ষা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। এখানে চারঘাটের সাহাপুর থেকে শুরু করে বাঘার সরেরহাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার অংশে প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ শিগগিরই শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী কাজটি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।

মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ ও মৎস্যজীবীদের উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ

আলহাজ মো. শাহরিয়ার আলম, এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে চারঘাট-বাঘায় মৎস্য চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে মৎস্যচাষিদের জীবনমান উন্নয়নে নানা কর্মকাণ্ড সাধিত হয়েছে। মাছের সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চারঘাট-বাঘার বিভিন্ন খাল ও খাস পুকুরে প্রায় ৫২.০৩ লাখ টাকা মূল্যমানের ১৬ হাজার কেজি মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয়েছে। প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০ টি মৃতপ্রায় খাল/খাস পুকুরকে খননের আওতায় এনে খনন করা হয়েছে। ভায়ালক্ষীপুরের ‘ডাকরা দহ’ এর খনন করা হয়েছে। এতে করে মৎস্য চাষের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজারের অধিক মৎস্য নির্ভরশীল পরিবারের জীবকায়ন নিশ্চিত হয়েছে।

মো: শাহরিয়ার আলম বিশেষ নজরদারি; এগিয়ে গেছেন চারঘাট-বাঘার নারী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলমএমপি নারীদের সার্বিক উন্নয়নে সদা সচেষ্ট। তিনি বিশ্বাস করেন নারীরা পিছিয়ে থাকলে কখনোই একটি রাষ্ট্রের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বাঘা-চারঘাটের নারীদের উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে বহু উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে কাক্সিক্ষত ফলও পাওয়া গেছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় চারঘাট-বাঘার প্রায় ১২ হাজার উদ্যোক্তার মধ্যে ৭ হাজারই নারী এবং তারাই বেশি সফল। চারঘাট-বাঘার অনেক মেয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এখন ভালো পদে চাকরি করছেন।

ক্রমিক প্রকল্পের নাম সময়কাল উপকারভোগীর চারঘাট উপকারভোগী বাঘা বরাদ্দকৃত অর্থ
১. মাতৃত্বকালীন ভাতা কর্মসূচি ২০০৯-২০১৮ ৮৭২৮ জন ২৮৮৪ জন ৩৯১,৮৪,৪০০/-
২ . ভিজিডি কর্মসূচি ২০০৯-২০১৮ ৮৭২৮ জন ৯০৮৪ জন ১২,৪৫৩.৩০ মে: টন
৩. মহিলা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ২০০৯-২০১৮ ৪৫০ জন ৩৮৫ জন ৩৪২৩,০০০/-
৪. ঋণ কার্যক্রম ২০০৯-২০১৮ ১৬৫ জন ২০২ জন ৩৭৪৩,০০০/-
৫. স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনের কার্যক্রম ২০০৯-২০১৮ ১০৭টি ৫৪টি ২৯৫৯,৫০০/-
৬ . ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা ২০১৫-২০১৮ ৬৫০ জন ৭০০ জন ১৫৬,০০,০০০/-
অক্ষম ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন

সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১৬টি কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তবেষ্টনীর আওতায় বিগত ১০ বছরে চারঘাট-বাঘার অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত, দরিদ্র ও সমস্যাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কল্যাণ সাধন ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে।

ক্রমিক কার্যক্রমের নাম উপকারভোগী চারঘাট উপকারভোগী বাঘা মাসিক ভাতা
১. বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম ৫২৫৬ জন ৫৩২২ জন ৫০০ টাকা
২. বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা ভাতা ২১৯৫ জন ২৭৭৬ জন ৫০০ টাকা
৩. অসচ্ছল অক্ষম প্রতিবন্ধী ভাতা ১২৭৪ জন ১৫১২ জন ৬০০ টাকা
৪. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ২০৫ জন ২৭৫ জন ৫০০/৬০০/৭০০/১২০০ টাকা
৫. মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ২১৪ জন ১৭৬ জন ১০,০০০ টাকা
৬.