Shahriar Alam

বাঘা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ: আলহাজ মো. শাহরিয়ার আলম, এমপির প্রচেষ্টায় বাঘাতে ২ কোটি টাকা (প্রায়) ব্যয়ে পাঁচতলা ভিতবিশিষ্ট তিনতলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে চারঘাট উপজেলাতেও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে ভবনের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।


অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্লাটবাড়ি নির্মাণ: প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাঘা উপজেলার ৫জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার দালান বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।


বাঘায় জাদুঘর ও পশু হাসপাতাল নির্মাণ: আউলিয়া-দরবেশের পুণ্যভূমি বাঘা উপজেলা সদরে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাধীন একটি জাদুঘর নির্মিত হয়েছে, যা বাঘা জাদুঘর নামে পরিচিত। এ ছাড়া বাঘা উপজেলায় একটি পশু হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে।


বলিহার গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ ও ভূমিহীনদের পুর্নবাসন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আবাসন বিভাগের আওতাধীন বাঘায় “বলিহার আশ্রয়ণ” নির্মাণ করা হয়েছে। ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এসব আশ্রয়ণ পুনর্বাসিত পরিবারদের সাংসারিক দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রও সরকারিভাবে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানের মাধ্যমে বাঘা উপজেলার ৫ শতাধিক পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প ‘জমি আছে ঘর নাই’-এর আওতায় বাঘা পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৪০০ শতাধিক গৃহহীন পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।


বিদ্যালয়/কলেজ এমপিওভুক্তকরণ: প্রথম মেয়াদে এমপি থাকা অবস্থায় আলহাজ মো. শাহরিয়ার আলম বাঘায় মোজাহর হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি পয়ায়ের এবং মনিগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এমপিওভূক্ত করে দেন।


টিআর-কাবিখার মাধ্যমে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন: বিগত ১০ বছরে চারঘাট ও বাঘা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মাটির কাঁচা রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের জন্য টিআর-কাবিখা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ মেঃটন খাদ্যশষ্য এবং নগদ ২২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।


ঢেউটিন বিতরণ: বিগত ১০ বছরে চারঘাট-বাঘার ৯৫২টি দু:স্থ পরিবারের মাঝে ১০৫৭ বান্ডিল ঢেউটিন এবং নগদ ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার নগদ টাকা টিনের সাথে বিতরণ করেন।


অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান:
অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বিগত ১০ বছরে ৩০ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সহা¯্রাধিক গ্রামীন মাটির কাঁচা রাস্তা সংস্কার ও মেরামত করা হয়েছে।


ভিজিএফ এরমমাধ্যমে দু:স্থ্যদেও খাদ্য নিরাপত্ত: মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চারঘাট-বাঘার অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে বিগত ১০ বছরে ৫৩১৭.৮৩ মে:টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।


ঐচ্ছিক তহবিল বিতরণ: সংসদ এবং প্রতিমন্ত্রী হিসেবে গত ১০ বছরে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ঐচ্ছিক তহবিল হিসেবে পেয়েছেন। এই তহবিলের সমূদয় অর্থই তিনি চারঘাট-বাঘার অসুস্থ্য, দু;স্থ্য ও অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করেছেন।


সেলাই মেশিন: বিগত ১০ বছরে আলহাজ্ব মোঃ শাহ্রিয়ার আলম ব্যক্তিগতভাবে ও সরকারি বরাদ্দ থেকে প্রায় ১৫০০ গরীব-দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছেন। এতেকরে ওইসকল দু:স্থ মহিলারা আত্মকর্মংসংস্থানের মাধ্যমে কিছু আয় করতে পারছেন।
হুুইল চেয়ার বিতরন: ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে আলহাজ্ব মোঃ শাহ্রিয়ার আলম, এমপি চারঘাট ও বাঘার প্রায় ১০০ প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন। এছাড়াও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে চারঘাট-বাঘায় ৫ শতাধিক হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।


স্কুল ড্রেস ও শীতবস্ত্র বিতরণ: আলহাজ্ব মোঃ শাহরিয়ার আলম, এমপি চারঘাট-বাঘার প্রায় ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস দিয়েছেন। তাঁর নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে তৈরি করে তা বিতরণ করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৬ সালের পর থেকেই নিয়মিতভাবে শীত মৌসুমে চারঘাট ও বাঘা উপজেলার গরীব ও দু:স্থদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল, চাদর, সোয়েটার সহ বিভিন্ন গরম পোষাক বিতরণ করে আসছেন।


টিউবয়েল বিতরণ: বিগত ১০ বছরে চারঘাট-বাঘার দরিদ্র জনগোষ্ঠির বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রাপ্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে আলহাজ্ব মোঃ শাহ্রিয়ার আলম, এমপির প্রচেষ্টায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১২৯৪টি স্যালোতারা, মডিফাইড তারা ও অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘ড্রিংকিং ওয়াটার পয়েন্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে। এমপি মহোদয় ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ৫০০ সাধারণ টিউবয়েল বিতরণ করেছেন। বাঘা-চারঘাটের প্রায় ১৫ হাজার দরিদ্র জনগোষ্ঠি এখন নিরপদ পানি পাচ্ছে।


সেনিটেশন: মানসম্মত স্যানিটেশনের লক্ষ্যে চারঘাট-বাঘার প্রায় ৫০০০ দু:স্থ পরিবারের মাঝে রিং/স্লাব সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ৫টি কমিউনিটি ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে ওই কমিউনিটির সবাই মানসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে পারে।

চারঘাট-বাঘার প্রত্যেক গৃহহীন পাচ্ছে বাড়ি!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধীকার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় যাদেও জমি আছে কিন্তু ঘর তৈরির সামর্থ নেই এমন গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। চারঘাট-বাঘার সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো: শাহ্রিয়ার আলম, এমপির বিশেষ প্রচেষ্টায় এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে বাঘায় ৪০০ এবং চারঘাটে ৪০০ গৃহহীন পরিবারকে একটি করে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চারঘাট এবং নির্মাণকৃত ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। তার বিশেষ প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় দফায় চারঘাট ও বাঘা উপজেলার সকল গৃহহীন পরিবার যেযন ঘর পান তার জন্য তালিকা চুড়ান্ত করে প্রকল্প অফিসে পাঠানো হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে ‘জমি আছে ঘর নাই’ এমন সকল মানুষ ঘর পাবেন এবং ২০২১ সালের মধ্যে যাদের ‘জমিও নাই, ঘরও নাই’ তাদেরও বাড়ি করে দেওয়া হবে।