শতভাগ বিদ্যুতায়ন
চারঘাট-বাঘার সাংসদ ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. শাহ্রিয়ার আলম, এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। ২০০৯ সালের আগ পর্যন্ত যেখানে ৩৫ হাজার ১৩৯টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল, জনাব মো. শাহরিয়ার আলম, এমপি চারঘাট-বাঘার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১০ বছরে ৭৮ হাজার ৫৭৮টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন। ৬৫৪ কিলোমিটার নতুন সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। শাহরিয়ার আলমের মেয়াদকালের পূর্বের ২৮ বছরে চারঘাট বাঘার মাত্র ৩৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুতের আওতায় ছিল আর তাঁর গত ১০ বছরে তিনি নতুন করে ৬৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন। তাঁর মেয়াদকালেই চারঘাট-বাঘার শতভাগ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে শাহরিয়ার আলম বাঘায় ২০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সাবস্টেশন চালু করেছেন এবং চারঘাটের রামচন্দ্রপুরে ১৫ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন অপর একটি সাবস্টেশনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এটি চালু হলে চারঘাট, বাঘা ও আড়ানীর আওতাধীন এলাকাগুলোতে আর কোনো লোডশেডিং থাকবে না। নিন্মে বাঘা উপজেলায় ২০০৯ সালের পূর্বের ২৮ বছরের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবং পরবর্তী ১০ বছরের অসাধারণ অর্জনের একটি তুলনামূলক চার্ট প্রদত্ত হলো :
ক্রঃ নং | বিবরণ | ২৮ বছর | ১০ বছর | মোট | অর্জনের হার |
---|---|---|---|---|---|
০১ | গ্রাহক সংখ্যা (টি) | ১৫,৩০২ | ৩০,২৮৭ | ৪৫,৫৮৯ | ১৯৭.৯৩% |
০২ | লাইন নির্মাণ (কিমি | ৩৪১ | ২৫৬ | ৫৯৭ | ৭৫.০৭% |
০৩ | উপকেন্দ্র | -------------- | ০১ | ০১ | ------------------ |
০৪ | উপকেন্দ্রের ক্ষমতা (এমভিএ) | ----------- | ১৫ | ১৫ | ---------- |
০৫ | বিদ্যুৎ ব্যবহার (মেঃওঃ) | ০৪ | ০৮ | ১২ | ২০০% |
০৬ | বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনগণ (%) | ৩৪% | ৬৬% | ১০০% | ১৯৪.১১৮% |
চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় ২০০৯ সালের পুর্বের ২৮ বছরের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এবং পরবর্তী ১০ বছরের অসাধারণ অর্জনের একটি তুলনামূলক চার্ট প্রদত্ত হলো:
চারঘাট
বিবরণ | ২৮ বছর | ১০ বছর | মোট | অর্জনের হার |
---|---|---|---|---|
গ্রাহক সংখ্যা (টি) | ১৯,৮৩৭ | ৪৮,২৮১ | ৬৮,১১৮ | ২৪৩% |
লাইন নির্মাণ (কিঃমিঃ) | ৪৫২ | ৩৯৮ | ৮৫০ | ৮৮% |
উপকেন্দ্রের ক্ষমতা (এমভিএ) | ১০ | ১০ বৃদ্ধি | ২০ | ১০০% |
বিদ্যুৎ ব্যবহার (মেঃওঃ) | ০৫ | ০৮ বৃদ্ধি | ১৩ | ১৬০% |
বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনগণ(%) | ৩২% | ৬৮% বৃদ্ধি | ১০০% | ২১২.৫০% |
বাঘা
ক্রঃ নং | বিবরণ | ২৮ বছর | ১০ বছর | মোট | অর্জনের হার |
---|---|---|---|---|---|
০১ | গ্রাহক সংখ্যা (টি) | ১৫,৩০২ | ৩০,২৮৭ | ৪৫,৫৮৯ | ১৯৭.৯৩% |
০২ | লাইন নির্মাণ (কিমি | ৩৪১ | ২৫৬ | ৫৯৭ | ৭৫.০৭% |
০৩ | উপকেন্দ্র | -------------- | ০১ | ০১ | ------------------ |
০৪ | উপকেন্দ্রের ক্ষমতা (এমভিএ) | ----------- | ১৫ | ১৫ | ---------- |
০৫ | বিদ্যুৎ ব্যবহার (মেঃওঃ) | ০৪ | ০৮ | ১২ | ২০০% |
০৬ | বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী জনগণ (%) | ৩৪% | ৬৬% | ১০০% | ১৯৪.১১৮% |
চরেও হচ্ছে শতভাগ বিদ্যুতায়ন
চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডেও সকল গ্রামই মূল ভূখন্ড থেকে পদ্মা নদী দ্বার বিভাজিত। মূল পদ্মা নদী এবং আরও ছোট ছোট নদীর নালা চরের গ্রামগুলোর অভ্যন্তর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারনে পল্লী বিদ্যুৎ/পিডিবির লাইন নির্মাণ সম্ভব নয়। এজন্য পররাষ্ট্র প্রতিমিন্ত্রী আলহাজ্ব মো: শাহ্রিয়ার আলম, এমপি বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রনালয় বরাবর সৌর বিদ্যুতের মিনি/ন্যানো গ্রিড স্থাপনের মাধ্যমে এই চর এলাকাতে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আবেদন করেণ। আবেদনের প্রেক্ষিত গত ২ জুলাই ২০১৮ তারিখে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে চকরাজাপুর চর ইউনিয়নকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গৃহিত হয়। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের ৭ ও৯ নং ওয়ার্ডে ১৪১ কিলোওয়াট সম্পন্ন একটি মিনি গ্রিড স্থাপিত হয়েছে। এই গ্রিডের আওতায় বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ৫১৭টি পরিবার। গ্রিডটিকে সম্প্রসারিত করে ৪০০ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন করা হচ্ছে। এতেকরে ৪, ৫, ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ডের সকল জনসাধারণ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে।
ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড খুব বেশি দুর্গম হওয়ায় টিআর-কাবিখাসহ সরকারী বিমেষ অনুদানের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে বিনামূল্যে সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের উদ্দ্যোগ গৃহিত হয়েছে। খুব শিঘ্রই চকরাজাপুরের সকল গ্রমের শতভাগ বাড়িতে বিদ্যুতায়নের এই সিধান্ত বাস্তবায়িত হবে।